খুলনার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইশার (১৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ওই ছাত্রী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল-আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেক শেখের মেয়ে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম।
ওই ছাত্রীর নানা জুয়েল শেখ মোবাইলে খুলনা গেজেটকে বলেন, আমার নাতনির মা বেঁচে নেই। ইশরার ১৬ মাস বয়সে তার মা মারা যায়। তারপর থেকে তাকে এসওএস শিশু পল্লীর হোমে রেখে লেখা-পড়া করানো হয়। সে সেখানে ১৪ বছর ধরে অবস্থান করছে। ওই হোমের কেউ আমার নাতনির ব্যাপারে খারাপ কোনো কথা বলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে ইশরা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সেখানকার কয়েকজন কর্মকর্তা তা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং রাত সাড়ে ১২টার কিছু পরে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে খবর না দিয়ে তারা নিজেরাই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আমাদের খবর দেয়। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এসওএস পল্লীর কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যে রশি বা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ইশা, সেটাও তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা একটি রহস্যজনক মৃত্যু বলে তিনি দাবি করেছেন।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা না কি অন্য কিছু। দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে ছাত্রীর মরদেহ মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে